ঘুষের বিনিময়ে ভিসা পাইয়ে দেয়ার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ঢাকায় মালয়েশিয়ান হাই কমিশনের দুই কর্মকর্তাকে নিজ দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ তাদের বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিন দিনের জন্য রিমান্ডে নেয়। ফ্রিমালয়েশিয়াটুডে অনলাইন এ খবর দিয়েছে।

পর্যটক এবং শ্রমিকদের মালয়েশিয়ার ভিসা পাইয়ে দেয়ার বিনিময়ে এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির ওই দুই কর্মকর্তা অবৈধ লেনদেনে জড়িত বলে অভিযোগ মিলেছে। তাদের মধ্যে একজন নারী কর্মকর্তাও রয়েছেন। মালয়েশিয়ায় এ ঘটনায় তদন্তের সঙ্গে যুক্ত একাধিক সূত্র জানায়, ওই দুই কর্মকর্তার ব্যাংক হিসাবে ‘সন্দেহজনক লেনদেনের’ প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ অনিয়মে জড়িত সন্দেহে কমপক্ষে ২০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং জমির আটটি প্লটসহ অন্যান্য সম্পদ জব্দ করা হয়েছে যার মূল্য ৩০ লাখ ১০ হাজার মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত।

মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান আজম বাকি বলেন, ওই দুই কর্মকর্তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। এই চক্রে জড়িত আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। তদন্তের স্বার্থে সিতি লিয়ানা সাকিজান নামের এক নারীর খোঁজে অনুসন্ধান চলছে। মালয়েশিয়ায় বিদেশি শ্রমিক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে চলমান তদন্তকাজের মধ্যেই ঢাকার মালয়েশীয় হাই কমিশন থেকে দুই কর্মকর্তাকে ফিরিয়ে রিমান্ডে নেয়া হলো। দুর্নীতি দমন কমিশন এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী ভি শিবকুমারকে ইতিমধ্যে দুই বার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এছাড়া তার অধীনস্থ দুই শীর্ষ কর্মকর্তা এবং এক ব্যবসায়ীকে গত সপ্তাহে ওই তদন্ত সংশ্লিষ্ট কাজে আটক করা হয়। রিমান্ড শেষে গত মঙ্গলবার ওই তিন জনকে মুক্তি দেয়া হয়।

স্থানীয় সংবাদপত্র দ্য স্টার জানায়, মালয়েশিয়ার শ্রম বিভাগ মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে গত আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৮৯২ জন বাংলাদেশি কর্মীর নিয়োগ অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯৫ জন কর্মী ইতিমধ্যেই মালয়েশিয়ায় গেছেন। বাকি ২ লাখ ২৫ হাজার শ্রমিকের মালয়েশিয়ায় যাওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

রাকিব/এখন সময়